জীবন বাঁচানোর কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল!



নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো আরেকটি জনপ্রিয় থিওরি 'বাটারফ্লাই ইফেক্ট'।একটি প্রজাপতি যদি পৃথিবীর একপ্রান্তে পাখা নাচায় অন্যপ্রান্তে সুনামি দেখা দেয়।বাস্তবে এরকম কিছু না হলেও এটা বলতে বুঝানো হয় ছোট কোন ঘটনার প্রভাব অনেক বড় কিছু হওয়াকে।এটা ভালো দিকেও হতে পারে খারাপ দিকেও হতে পারে।যেমন আপনি কোন বাস মিস করলেন আর পরে শুনলেন সেটা এক্সিডেন্ট করলো এটা আপনার জন্য ভালো। কারণ বাস মিস না করলে হয়ত আপনি মারা যেতে পারতেন।আর এর খারাপ দিকেরটা বলতে গেলে একটা বিখ্যাত ঘটনার উদাহরণ দেওয়া যায়।

হেনরি টেন্ডি 




ছবিতে যে লোকটিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম হেনরি টেন্ডি।তার সহমর্মিতা আর মায়া প্রকাশের কারণে ৬০ মিলিয়ন মানুষকে খুন হতে হয়।জিনিসটা একটু অদ্ভুত না?মানুষ তো খুন হয় রাগ হিংসার কারণে কিন্তু একজন দুইজন না প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ কেন মারা যাবে একটা মানুষের কোমল হৃদয়ের কারণে?কি করেছিলেন হেনরি?কে ই বা ছিলেন এই হেনরি? 

হেনরি টেন্ডি ছিলেন একজন বৃটিশ সৈনিক।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সের একটা গ্রামে তার সামনে এক আহত জার্মান সৈনিক ধরা পড়ে।শত্রু হলেও আহত অবস্থায় দেখে মায়া হয় যে কারণে হাতের বন্দুকটি নামিয়ে ফেলেন আর জার্মান সৈনিককে চলে যেতে দেন। জার্মান সৈনিকটি তাকে ধন্যবাদ দেয়।ওই জার্মানের নাম ছিল এডলফ হিটলার

এডলফ হিটলার 



হিটলার পরে জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধান হন।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ক্রিমিনাল যিনি গ্যাস চেম্বারে ভরে মানুষ মারেন আর যুদ্ধ লাগানোর কারণে অনেক মানুষ মারা যায় পরবর্তী সময়ে।সেদিন যদি হেনরি টেন্ডি মায়া না দেখিয়ে গুলি করতেন তাহলে হয়ত এত মানুষকে প্রাণ দেওয়া লাগতো না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও হয়ত হতোনা।একটা মানুষকে বাঁচিয়ে পরোক্ষভাবে তিনি লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেললেন।আবেগ,ভালোবাসা,মায়া এগুলো ভালো জিনিস।কিন্তু ভুল জায়গায় পড়লে বাটারফ্লাই ইফেক্টের মতোই ভয়াবহ পরিণতি হয়।

No comments

Powered by Blogger.